Gallery
সহশিক্ষা সপ্তাহ ২০২০
অন্যান্য বৎসরের ন্যয় এবারও অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে উদযাপিত হয়েছে “সহশিক্ষা সপ্তাহ ২০২০”। “মুজিব শতবর্ষ” কে প্রতিভাসিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় রাখা হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক নানা আয়োজন। ০৬ ফেব্রুয়ারি হতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বর্ণিল এই আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৬-৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে শ্রেণিভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় একক ও দলগত নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান, রবীদ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আবৃত্তি ইত্যাদি ইভেন্টের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দৈর্ঘের দৌড়, বিস্কুট দৌড়, বস্তা দৌড়, মোমবাতি দৌড়, সুই সুতা দৌড়, জোড়া পায়ে দৌড়, ভারসাম্য দৌড়, গোলক নিক্ষেপ, ঝুড়িতে বল ছোড়া, হাড়িভাঙ্গা, স্মৃতিশক্তি পরীক্ষা, ছোটদের উঠাবসা, বিস্কুট দৌড়, জুতা দৌড়, দড়ি লাফ, অংক দৌড়, ব্যাঙ লাফ ইত্যাদি। শ্রেণিভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। এই আয়োজনে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন বই প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ”। আরো ছিল বিশিষ্ট লেখক সেলিনা হোসেনের ‘নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি’, ‘সোনালি ডুমুর’, ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প’, ‘গেরিলা ও বীরাঙ্গনা’, মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘গল্প সমগ্র’ আহমেদ ফিরোজের ‘১৫ আগস্টের শোকগাথা’, আনিসুল হকের ‘যারা ভোর এনেছিল’, রিজিয়া রহমানের ‘বং থেকে বাংলা’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘একাত্তর ও একজন মা’, মোজাম্মেল হক নিয়োগীর ‘মায়াবী দৌলত’, ‘কিশোর সমগ্র’, ‘বোকা বোকা বাঘ’, আহমেদ রিয়াজ -এর ‘লাহোর টু গোপালগঞ্জ’, ‘জনকের শিশু-কিশোর গল্প’, ‘ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প’, ‘একাত্তরের তোতা কাহিনী’। আরো ছিল প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক মো. রহমত উল্লাহ্ -এর ‘জয় বাংলা;, ‘ভ্রমর ধরায় অভিযান’। এছাড়া দীপু মাহমুদ, মনি হায়দার, সুমন্ত আসলাম, হুমায়ূন আহমেদ, সুকুমার রায়, উপেন্দ্র কিশোর রায়, হেলাল হাফিজ প্রমুখ লেখকের বইও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য আরও ছিল সিসিমপুর সিরিজের বিপুল সংখ্যক বই। বিগত ১০ বছরের ন্যায় এবারও প্রতিষ্ঠান প্রধান জনাব মো. রহমত উল্লাহ -এর আন্তরিক ইচ্ছা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ষাট হাজার টাকা মূল্যের চার শতাধিক বই পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। পুরষ্কার হিসেবে বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা খুবই আনন্দিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বই উপহার দেয়াকে উৎসাহিত করে আসছেন কেননা এতে জ্ঞানের দ্বার উন্মোচিত হয়। শ্রেণিভিত্তিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। এই আয়োজনে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে প্রায় ৬০,০০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যালকুলেটর, রং পেন্সিল বক্স, জ্যামিতি বক্স ক্লিপবোর্ড, স্ট্যাপলার, ব্যাগ, কলম, কলম-বক্স, পেনসিল, পেন্সিল বক্স, পেনসিল কাটার, ইরেজার, গ্লু ইত্যাদি। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মোঃ সলিম উল্লাহ্ (সলু) এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ। এই অনুষ্ঠানসমূহে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জনাব মো. রহমত উল্লাহ্্। চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানের ১ম দিনে আয়োজিত হয় বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এর শুরু হয়। অনুষ্ঠানের এই পর্বে হামদ্, নাত ও কিরাত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রদান করা ইসলামি সাহিত্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই। এদের মধ্যে নঈম সিদ্দিকী রচিত মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ রসুল্লাহ (সাঃ), মোঃ আব্দুল হালিম রচিত ছোটদের চার খলিফা, এম.এম. রহুল আমিন রচিত আল-কুরআনের গল্প ছাড়াও নেক কানুন, হযরত উসমান, ১০০০ ইসলামী উপদেশ, সেরা মানুষের জীবন কথা, ফাজায়েলে ৮০ দরুদ শরীফ ও ২০০ মাসনুন দোয়া, বিশ্বনবীর ৬০০ মুজিযা, জান্নাতী দশ রমনীর জীবনী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান ও সমগ্র দেশ বাসীর কল্যান কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত আলেম ও বক্তা এবং প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য জনাব মোঃ মুনিরুজ্জামান। আগত অতিথিবৃন্দ, অভিভাবক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সকলের মাঝে মিষ্টান্ন বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে ১২ই ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানমালা। ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সহশিক্ষা সপ্তাহের চূড়ান্ত পর্ব। এই পর্বের ১ম অংশের অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১১:০০ টায়। এ পর্বের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৩), জনাব আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব অধ্যক্ষ এম.এ. সাত্তার (সভাপতি, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর)। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব আলহাজ্ব মোঃ সলিম উল্লাহ (সলু), চেয়ারম্যান, গভর্নিং বডি, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ। নবনির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সাহিন আক্তার সাথী। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন জনাব আলহাজ্ব মোঃ আলমগীর হোসেন, বিদ্যোৎসাহী সদস্য, গভর্নিং বডি। প্রধান অতিথিকে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ফুলের শুভেচ্ছা ও লাল গালিচা সংবর্ধনায় বরণ করে নেয়। পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি এবং গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ানোর পর প্যারেড কমান্ডার প্রধান অতিথির অনুমতি নিয়ে প্যারেড শুরু করেন। ব্যান্ডের তালে তালে এগিয়ে চলে কিশলয়ের শিক্ষার্থী প্যারেড ব্যান্ডের মার্চ পাস্ট। প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২টি পৃথক চৌকষ দল প্যারেড প্রদর্শন করে। প্রাথমিক স্তরের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ক্রীড়া নৈপুন্য প্রদর্শন করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পটভূমি অবলম্বনে বিভিন্ন ধর্মীয় গানের তালে তালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর একটি দল ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়াই ছিলো এই ডিসপ্লের মূল প্রতিপাদ্য। বঙ্গবন্ধুকে প্রতিপাদ্য করে নির্মিত ২য় ডিসপ্লেটিতে শিক্ষার্থীদের অনিন্দ্য সুন্দর নৈপুন্যতা দেখে উপস্থিত দর্শকমন্ডলী বিমোহিত হন ও উচ্ছসিত প্রশংসা করেন। এরপর প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থীদের একটি দল মনোরম আরেকটি ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। তারা লাল - সবুজের তরঙ্গে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সারা বাংলার মানুষের আন্দোলনের একটি প্রতিচিত্র তুলে ধরে। গান ও নৃত্যে লাল-সবুজের বাংলার প্রতিরূপ বিমূর্ত হয়ে ওঠে। সকলকে করে ফেলে অভিভূত-নির্বাক। পিন-পতন নিরবতা বিরাজ করে ঘটনা-দৃশ্যের চমৎকারিত্বে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জনাব মো. রহমত উল্লাহ্ স্বাগত বক্তব্যে শিক্ষা খাতে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন শিক্ষা খাতে বর্তমান সরকারের সাফল্যের ছোঁয়া কিশলয়েও পৌছেছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে কিশলয়ের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ‘এটি মোহাম্মদপুরের সবচেয়ে প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। কিশলয়ের নিজস্ব ভুমি আছে, ভবন আছে, স্লোগান আছে, শপথ আছে, সঙ্গীত আছে, সুষ্ঠু পাঠদানের অনুকুল পরিবেশ আছে। আরো আছে নারী শিক্ষার আর্দশ ভূমি, প্রাচীর ঘেরা সুবিশাল প্রাঙ্গন। কিশলয় সবদিক থেকেই সমৃদ্ধ। নারী শিক্ষার প্রাসারে ১৯৬০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। “শ্রেষ্ঠ মাতা শ্রেষ্ঠ জাতি” এই স্লোগানটি ধারণ করে দেশকে শ্রেষ্ঠ মাতা ও শ্রেষ্ঠ জাতি উপহার দেবার নিরন্তর প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে চলছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর জনাব সাহিন আক্তার সাথী এ প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর নাড়ির টানের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এদেশের নারী শিক্ষা বিস্তারের প্রতিষ্ঠানটি ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদানের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য কামনা করেন। প্রধান অতিথি তাঁর সংক্ষিপ্ত ও প্রাণদীপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকারের সাফল্য ও সার্বিক কর্মকান্ড তুলে ধরেন। এই প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুকূল পরিবেশের ভুয়সী প্রশংসা করেন। সততা ও দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কারণে তিনি প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সহ শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের সাধুবাদ জানান। প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে উপদেশমূলক ও উদ্দীপণাপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন। এরপর বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মোঃ সলিম উল্লাহ (সলু)। তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার্থে ও শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের ১নং ভবনটি ভেঙ্গে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত নতুন একটি ভবন নির্মাণ করার লক্ষ্যে সরকারি বরাদ্দ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান অতিথিকে অনুরোধ করনে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার উপদেশ প্রদান করে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। এরপর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আরো একটি মজার উপভোগ্য পর্ব: “যেমন খুশী তেমন সাজো”। এতে সমাজে বিরাজিত অসঙ্গতি ও কুসংস্কার ও স্বাভাবিক জীবন ধারার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরে উপস্থিত দর্শকদের হাসির খোরাক সৃষ্টি করে এবং সাথে সাথে কিছু কিছু বিষয়ে তাদের বিবেক জাগ্রত। তাতে ফুটে উঠে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের পেশা , মনন এবং জীবন জীবিকার প্রণালী। তা হয়ে ওঠে যেমনি আর্কষণী ও তেমনি শিক্ষনীয়। সমাজের রন্ধ ও বিচ্যুতির সমালোচনায় এর জুড়ি মেলা ভার। এর মধ্য দিয়ে এ পর্বের সমাপ্তি ঘটে। চূড়ান্ত পর্বের এই অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের সুচনা হয় বিকাল ৩:০০ টায়। এ পর্বের প্রথমেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ও গত বার্ষিক পরীক্ষায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারকারী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) ও বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সামগ্রী একাডেমিক পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে যারা একদিনও নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেননি এবং যাঁরা মাত্র একদিন বা দুইদিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেছেন তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে ও তাদের আন্তরিকতার স্বীকৃতি স্বরুপ পুরস্কৃত করা হয়। এরপর মাগরিবের নামাজের বিরতির পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।